কুরআন মাজিদ আল্লাহর কালাম বা বাণী। কুরআন মাজিদ দেখে দেখে পড়াকে নাযিরা তিলাওয়াত বলে। দেখে দেখে কুরআন তিলাওয়াত একটি উত্তম ইবাদাত। কুরআনের প্রতিটি হরফ তিলাওয়াতের জন্য মহান আল্লাহ তিলাওয়াতকারীকে অন্তত দশটি নেকী দান করেন। যে ঘরে কুরআন মাজিদ তিলাওয়াত করা হয় সে ঘরে আল্লাহর রহমত নাযিল হয়। কুরআন পাঠে দক্ষ ব্যক্তির মর্যাদা অনেক। এমনকি যে কুরআন পড়তে গিয়ে আটকে যায় এবং তিলাওয়াত তার জন্য কষ্টসাধ্য হয় তাকেও আল্লাহ তা'আলা রকুরআন পাঠে দ্বিগুণ সওয়াব দেবেন বলে মহানবি (সা.) উল্লেখ করেছেন। আর যে অন্তরে কুরআন মাজিদের একটি আয়াতও নেই মহানবি (সা.) সে অন্তরকে একটি শূন্য ঘরের সাথে তুলনা করেছেন। কাজেই আমরা শুদ্ধরুপে কুরআন তিলাওয়াত শিখব এবং প্রত্যহ তিলাওয়াত করব।
কুরআন তিলাওয়াতের আদব
কুরআন মাজিদের মাহাত্ম্য ও মর্যাদা অতুলনীয়। সৃষ্টিজগতের সকল কিছুর ইহকালীন ও পরকালীন মঙ্গল এ কিতাবে বর্ণিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার মধ্যে নিহিত। এ পবিত্র কালাম তিলাওয়াতের সময় এর মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের প্রতি লক্ষ্য রাখা একান্ত অপরিহার্য কর্তব্য। সুতরাং অত্যন্ত আদবের সাথে এ কিতাব তিলাওয়াত করা উচিত। বাহ্যিক আদব রক্ষার সাথে সাথে মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা দরকার। তিলাওয়াতের সময় নিজের মনকে যাবতীয় কলুষ থেকে মুক্ত করে আল্লাহর অভিমুখী করে তিলাওয়াত শুরু করা উচিত। তাই কুরআন তিলাওয়াতের কতিপয় আদব নিচে দেওয়া হলো :
(১) সুন্দরভাবে ওযু করে পবিত্র স্থানে কিবলামুখী হয়ে বসা।
(২) পবিত্র কুরআনকে কোন কিছুর উপরে রেখে তিলাওয়াত করা।
(৩) তিলাওয়াতের পূর্বে কয়েকবার দরূদ শরিফ পাঠ করা।
(৪) আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে তিলাওয়াত শুরু করা।
(৫) ধীরে ধীরে তাজবিদের সাথে মিষ্টি-মধুর স্বরে তিলাওয়াত করা।
(৬) তিলাওয়াতের সময় হাসি-তামাশা বা কোন রুপ কথা বার্তা না বলা
(৭) একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তিলাওয়াত করা।
(৮) তিলাওয়াত শেষে কুরআনকে খুব সম্মানের সাথে কোন উঁচু স্থানে রেখে দেওয়া।
Read more